আসসালামু আলাইকুম
bdtechpubg তে আপনাদের স্বাগতম
আশাকরি সবাই ভালো আছেন
সবাই ভালো থাকেন ভালো রাখেন এই প্রত্যাশাই করি সব সময়।
সবাই ভালো থাকেন ভালো রাখেন এই প্রত্যাশাই করি সব সময়।
চীনের স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক ভিভো সম্পূর্ণ বিদেশী সরাসরি বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন প্ল্যানট চালু করতে প্রস্তুত। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্থাপন করা হনে এই প্ল্যান্টটি যাতে প্রতিবছর কমপক্ষে এক মিলিয়ন স্মার্টফোন রাখা হবে।
ভিভো মোবাইল বাংলাদেশ এর সহকারী পরিচালক তানজিব আহমেদ এক লিখিত বিবৃতিতে ভলেন, “আমরা আশাকরি ‘Made in Bangladesh’ হ্যান্ডসেটগুলো বাজারে তিন মাসের মধ্যে উপলব্ধ হবে”।
তিনি আরো বলেন, “ভিভো সর্বদা উচ্চ গুণমান নিশ্চিত করে এবং ‘Made in Bangladesh’ পণ্যগুলিও সর্বোত্তম মানের হবে যাতে যুক্তিসংগত মূল্য থাকবে”। এই নিয়ে চীনা কোম্পানিটির পঞ্চম কারখানা হবে, চীনে দুটি এবং ভারত ও ইন্দোনেশিয়া বাকি দুটি।
আহমেদ আরো বলেন, “কয়েক বছরের মধ্যে কোম্পানি ‘Made in Bangladesh’ হ্যান্ডসেট রপ্তানি করতে চায়”। ভিভো ইতিমধ্যে ট্যাক্স প্রকাশক এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরী কমিশন থেকে প্রাথমিক সম্মতি পেয়েছে।
প্রস্তাবটি এখন টেলিকম রেগুলেটর থেকে সম্পূর্ণ অনুমোদন পাওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে এটি রয়েছে জানিয়েন বিটিআরসি’র একজন সিনিয়র কর্মকর্তা।
বিটিআরসি’র রেগুলেশন অনুযায়ী, বেস্ট টিকোন (বিডি) এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড (Best Tycoon (BD) Enterprise Ltd) নামের কোম্পানিতে ভিভো কমপক্ষে ২৫০ বাংলাদেশীকে কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। এদিকে ভিভোর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন টেলিকম মন্ত্রী মুস্তফা জব্বার।
মন্ত্রী বলেন, হ্যান্ডসেটের আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি এবং মোবাইল ফোনের সমাবেশে ব্যবহূত কাঁচামালের উপর দায়িত্ব অর্পণ করা সরকারের পক্ষে একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
মন্ত্রী আরো বলেন, “কেবল ভিভো নয়, ট্যাক্স বেনিফিট পেতে কার্যালয় স্থাপনের জন্য চীনা কোম্পানি অপো ও আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে”।
সরকার প্রথম ২০১৭-১৮ অর্থবছরের স্থানীয় সংখ্যাগরিষ্ঠদের জন্য ট্যাক্স নীতি আরোপ করে এবং ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে তা সংশোধিত হয়।
বর্তমানে স্মার্টফোনের আমদানিতে ৫৭ শতাংশ ট্যাক্স এবং বেসিক ও ফিচার ফোনে ৩২ শতাংশ। স্থানীয়ভাবে একত্রিত এবং নির্মিত হ্যান্ডসেটের উপর যথাক্রমে ১৮ শতাংশ এবং ১৩ শতাংশ। ভিভোর প্ল্যান্ট বাংলাদেশে সপ্তম এসেম্বলি ইউনিট হবে।
২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে মোবাইল ফোন এসেম্বলি প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য লোকাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন বাংলাদেশের প্রথম কোম্পানি হয়ে ওঠে।
স্থানীয় কোম্পানির সাথে যৌথ উদ্যোগে গাজীপুরে অপো একটি কার্যালয় স্থাপন করছে। চীনের হ্যান্ডসেট নির্মাতা বিটিআরসি তে এখনো আবেদন করেনি বলেছেন বিটিআরসি’র একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, অপো আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছে যে তারা একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করতে চায়।
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিএমএ) এর সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব হবেন, “বর্তমানে দেশে ছয়টি সংযোগকারী প্রতিষ্ঠান ৪০ শতাংশের বেশি হ্যান্ডসেট এর চাহিদা পূরণ করছে এবং ভিভোর পণ্য বাজারে আসলে তা ৫৫ শতাংশে পৌঁছাবে।
বিএমপিএমএ’র মতে, সিম্ফনি স্মার্টফোনের এক লাখ ইউনিট এবং কয়েক হাজার ফিচার ফোন করছে। ওয়ালটন এর ৪০,০০০-৫০,০০০ ইউনিট স্মার্টফোন এবং Transsion বাংলাদেশ লিমিটেড এর ৭০,০০০-৮০,০০০ ইউনিট।
দুই অন্যান্য প্রতিষ্ঠান — আল আমিন ব্রাদার্স এবং আনিরা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড – বর্তমানে বিভিন্ন ধরণের মোবাইল ফোন এসেম্বলিং করছে।
গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউটারস লিমিটেড ও ওকে মোবাইল লিমিটেড বিটিআরসি থেকে প্ল্যান্ট স্থাপনের অনুমোদন পেয়েছে। আরো তিনটি কোম্পানি অনুমোদন চাচ্ছে।
মাহবুব বলেন, “সব কোম্পানি স্থানীয়ভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরি করতে শুরু করলে, শিল্পটি দেশীয় চাহিদার পূরণ করবে এবং রপ্তানির জন্য স্থানান্তরিত করবে”।
Written by
Nafiz Iqbal
2 Comments
Carry on I love this site
ReplyDeleteCarry on I love this site
ReplyDelete